মহাদেবাশার শূন্যতত্ত্ব(শেষ পর্ব)
শূন্যসংখ্যার শেষ কিস্তি:
শূন্য সংখ্যা হিসাবে আবিষ্কৃত হওয়ার ফলে স্বাভাবিক সংখ্যা এবং ঋণাত্মক অখন্ড সংখ্যা সমূহের মধ্যে এক অপূর্ব সেতু বন্ধন সম্ভব হয়েছে। আমরা যদি পূর্ণ সংখ্যাগুলিকে সংখ্যারেখায় চিহ্নিত করি তাহলে নীচের চিত্রটি পাব।
০
________|__|__|__|__|__|__|_________
-৩ -২ -১ +১ +২ +৩
চিত্রটি লক্ষ করলে দেখতে পাবো '১' এই স্বাভাবিক সংখ্যার ডানদিকে প্রতিটি সংখ্যা তার ঠিক আগের সংখ্যা থেকে এক একক দূরত্বে অবস্থিত, আর '-১' এর বামদিকে ঋণাত্মক অখন্ড সংখ্যাগুলির প্রতিটি ও তার ঠিক আগের সংখ্যা থেকে এক একক দূরত্বে অবস্থিত। এই রেখায় শূন্য উপস্থিত না থাকলে '-১' এর ডানদিকে '+১' অবস্থিত হত এবং তাদের মধ্যে দূরত্ব হত দুই একক। কিন্তু শূন্যের উপস্থিতির ফলে আমরা যেকোনো অখন্ড সংখ্যার ঠিক আগে বা পরে অবস্থিত সংখ্যার মধ্যে সব সময় দূরত্ব এক একক পাই। অর্থাৎ শূন্য সংখ্যারেখায় অখন্ড সংখ্যাগুলির মধ্যে ফাঁক ভরাট করে যেন এক অপূর্ব সেতু বন্ধন করছে।
সেইরকম কবিতার ক্ষেত্রেও আমরা পাচ্ছি দুধরনের কবিতা একটা আবেগময়ী অর্থাৎ বাণিজ্যিক এবং আরেকটি পরীক্ষা মূলক কবিতা এই দুইয়ের মাঝে কোনো সেতু ছিল না হৃদয় চর্চা নাকি মস্তিষ্কচর্চা কোনটা? শূন্যতত্ত্ব বলছে দুটোই একটা কবিতার মধ্যে বিরাজমান থাকবে।
তাহলে কেমন হবে শূন্যতত্ত্বের বৈশিষ্ট্য: ক্রমসংকোচনবাদ থেকে ক্রমবিকাশবাদ বা ক্রমবিকাশবাদ থেকে ক্রমসংকোচনবাদ এর মধ্যের সময় হল শূন্য বা জিরোওয়াট। এখানেই কবি গড়ে তুলবেন তার লৌকিক বাসভূমি।
২) কবিতায় কোনো কিছুই অচ্ছুত নয়। জ্ঞানের যে কোনো শাখা থেকে কবিতায় শব্দ-প্রতীক-সংকেত চালান করতে রাজি। সম্প্রসারনই জীবন সংকীর্ণতায় মৃত্যু।
৩) প্রচলিত শব্দের প্লাজমা ব্যবহারই কবিতাকে করে তুলে এক অনন্য অসাধারণ। যেখানে আমরা water logic আর পাবো না, পাবো শব্দের প্লাজমা ব্যবহারের রহস্য বুনন। অনেকটা যেন সমাধি সমাধি ব্যাপার।
৪) কবিতা বা কবি কেউই কবিতা লেখে না। কবিত্ব কবির দ্বারা যা লেখায় তাই কবিতা। কবিত্ব যে কী তা ভাষায় প্রকাশ করা খুবই দুরহ ব্যাপার। কবিত্বই আদর্শ কবি নিমিত্ত মাত্র।
৫) শব্দ এবং শব্দহীনতার অর্থকে তুলে ধরা। অর্থাৎ অর্থগত নয় ধ্বনিগত পরিবর্তনই এখানে মুখ্য।আমরা সবসময় কবিতার অর্থ খুঁজতে যায়, এর থেকে হাস্যকর মিথ তো আর কিছু নেই। অর্থাৎ একটা শব্দ আরেকটা শব্দের identity ঘটায় এর বেশি কিছু নয়। তবে কবিতার মধ্যে থাকে কী? প্রতিক্রিয়া থাকে।
৬) এই প্রতিক্রিয়া থেকে শুরু হবে পাঠকের ভিতর এক অনুরনন। সে তখন লিখে চলবে তার কবিতা শব্দ বা অক্ষর দিয়ে নয় অনুভব দিয়ে।
৭) বানানের কোনো সীমাবদ্ধতা থাকবে না কবি তার নিজের বানান প্রয়োজন মত নিজেই তৈরি করবে তার ফ্যান্টাসির যুক্তিহীনতার মাধ্যমে।
৮) নতুন নতুন ছন্দ, নতুন নতুন শব্দ প্রভৃতির ব্যবহার।
৯) বহুরৈখিকতা, বহুশ্রাব্যতা প্রকাশ পাবে একজ্ঞান অর্থাৎ শূন্যকে সামনে রেখে।
১০) কখনও কখনও প্রতিটা শব্দ, প্রতিটা লাইন এর মধ্যেও শূন্যতা বিদ্যমান।
১১) আঙ্গিকের কোনো ছুৎমার্গ নেই।
১২) কবিতায় শ্রাব্যতার বিশেষ প্রাধান্য।
১৩) চিত্রকল্প বা চলচিত্রকল্প নয় পরিবর্তে শ্রাব্যকল্প।
১৪) শূন্যতত্ত্বের কবিতায় একটি ইন্দ্রিয় যেমন চোখ অর্থাৎ চিত্রকল্প বা চলচিত্রকল্পকে উপেক্ষা করে অর্থাৎ কানকে সজাগ রাখতে হয়।
১৫)শূন্যতত্ত্বের কবিতা মস্তিষ্ক ও হৃদয়ের চর্যা ও চর্চার মেলবন্ধন।
শূন্য সংখ্যা হিসাবে আবিষ্কৃত হওয়ার ফলে স্বাভাবিক সংখ্যা এবং ঋণাত্মক অখন্ড সংখ্যা সমূহের মধ্যে এক অপূর্ব সেতু বন্ধন সম্ভব হয়েছে। আমরা যদি পূর্ণ সংখ্যাগুলিকে সংখ্যারেখায় চিহ্নিত করি তাহলে নীচের চিত্রটি পাব।
০
________|__|__|__|__|__|__|_________
-৩ -২ -১ +১ +২ +৩
চিত্রটি লক্ষ করলে দেখতে পাবো '১' এই স্বাভাবিক সংখ্যার ডানদিকে প্রতিটি সংখ্যা তার ঠিক আগের সংখ্যা থেকে এক একক দূরত্বে অবস্থিত, আর '-১' এর বামদিকে ঋণাত্মক অখন্ড সংখ্যাগুলির প্রতিটি ও তার ঠিক আগের সংখ্যা থেকে এক একক দূরত্বে অবস্থিত। এই রেখায় শূন্য উপস্থিত না থাকলে '-১' এর ডানদিকে '+১' অবস্থিত হত এবং তাদের মধ্যে দূরত্ব হত দুই একক। কিন্তু শূন্যের উপস্থিতির ফলে আমরা যেকোনো অখন্ড সংখ্যার ঠিক আগে বা পরে অবস্থিত সংখ্যার মধ্যে সব সময় দূরত্ব এক একক পাই। অর্থাৎ শূন্য সংখ্যারেখায় অখন্ড সংখ্যাগুলির মধ্যে ফাঁক ভরাট করে যেন এক অপূর্ব সেতু বন্ধন করছে।
সেইরকম কবিতার ক্ষেত্রেও আমরা পাচ্ছি দুধরনের কবিতা একটা আবেগময়ী অর্থাৎ বাণিজ্যিক এবং আরেকটি পরীক্ষা মূলক কবিতা এই দুইয়ের মাঝে কোনো সেতু ছিল না হৃদয় চর্চা নাকি মস্তিষ্কচর্চা কোনটা? শূন্যতত্ত্ব বলছে দুটোই একটা কবিতার মধ্যে বিরাজমান থাকবে।
তাহলে কেমন হবে শূন্যতত্ত্বের বৈশিষ্ট্য: ক্রমসংকোচনবাদ থেকে ক্রমবিকাশবাদ বা ক্রমবিকাশবাদ থেকে ক্রমসংকোচনবাদ এর মধ্যের সময় হল শূন্য বা জিরোওয়াট। এখানেই কবি গড়ে তুলবেন তার লৌকিক বাসভূমি।
২) কবিতায় কোনো কিছুই অচ্ছুত নয়। জ্ঞানের যে কোনো শাখা থেকে কবিতায় শব্দ-প্রতীক-সংকেত চালান করতে রাজি। সম্প্রসারনই জীবন সংকীর্ণতায় মৃত্যু।
৩) প্রচলিত শব্দের প্লাজমা ব্যবহারই কবিতাকে করে তুলে এক অনন্য অসাধারণ। যেখানে আমরা water logic আর পাবো না, পাবো শব্দের প্লাজমা ব্যবহারের রহস্য বুনন। অনেকটা যেন সমাধি সমাধি ব্যাপার।
৪) কবিতা বা কবি কেউই কবিতা লেখে না। কবিত্ব কবির দ্বারা যা লেখায় তাই কবিতা। কবিত্ব যে কী তা ভাষায় প্রকাশ করা খুবই দুরহ ব্যাপার। কবিত্বই আদর্শ কবি নিমিত্ত মাত্র।
৫) শব্দ এবং শব্দহীনতার অর্থকে তুলে ধরা। অর্থাৎ অর্থগত নয় ধ্বনিগত পরিবর্তনই এখানে মুখ্য।আমরা সবসময় কবিতার অর্থ খুঁজতে যায়, এর থেকে হাস্যকর মিথ তো আর কিছু নেই। অর্থাৎ একটা শব্দ আরেকটা শব্দের identity ঘটায় এর বেশি কিছু নয়। তবে কবিতার মধ্যে থাকে কী? প্রতিক্রিয়া থাকে।
৬) এই প্রতিক্রিয়া থেকে শুরু হবে পাঠকের ভিতর এক অনুরনন। সে তখন লিখে চলবে তার কবিতা শব্দ বা অক্ষর দিয়ে নয় অনুভব দিয়ে।
৭) বানানের কোনো সীমাবদ্ধতা থাকবে না কবি তার নিজের বানান প্রয়োজন মত নিজেই তৈরি করবে তার ফ্যান্টাসির যুক্তিহীনতার মাধ্যমে।
৮) নতুন নতুন ছন্দ, নতুন নতুন শব্দ প্রভৃতির ব্যবহার।
৯) বহুরৈখিকতা, বহুশ্রাব্যতা প্রকাশ পাবে একজ্ঞান অর্থাৎ শূন্যকে সামনে রেখে।
১০) কখনও কখনও প্রতিটা শব্দ, প্রতিটা লাইন এর মধ্যেও শূন্যতা বিদ্যমান।
১১) আঙ্গিকের কোনো ছুৎমার্গ নেই।
১২) কবিতায় শ্রাব্যতার বিশেষ প্রাধান্য।
১৩) চিত্রকল্প বা চলচিত্রকল্প নয় পরিবর্তে শ্রাব্যকল্প।
১৪) শূন্যতত্ত্বের কবিতায় একটি ইন্দ্রিয় যেমন চোখ অর্থাৎ চিত্রকল্প বা চলচিত্রকল্পকে উপেক্ষা করে অর্থাৎ কানকে সজাগ রাখতে হয়।
১৫)শূন্যতত্ত্বের কবিতা মস্তিষ্ক ও হৃদয়ের চর্যা ও চর্চার মেলবন্ধন।
মহাদেবাশার শূন্যতত্ত্ব(শেষ পর্ব)
Reviewed by Unknown
on
December 06, 2017
Rating:
No comments