মহাদেবাশার শূন্যতত্ত্ব (চতুর্থ পর্ব)
শূন্যতত্ত্বের চতুর্থ কিস্তি
প্রবৃত্তি আর নিবৃত্তির অভাবেই যেকোনো মানুষ-সমাজ-শিল্প- সাহিত্য সবকিছু ধ্বংসের মুখে।এখানেই সমস্ত জগতের রহস্যময় প্রবঞ্চ।প্রবৃত্তি ও নিবৃত্তির মিলনই আমাদেরকে প্রকৃত সত্যের সম্মুখীন করবে। নচেৎ আমরা বারংবার ধ্বংসের সম্মুখীন হব। আমাদেরকে রসাতলের হাত থেকে বাঁচতে হলে সম্পূর্ণ নিজস্ব ধারায় সিক্ত হতে হবে প্রবৃত্তি ও নিবৃত্তির হাত ধরে। নিবৃত্তি ছাড়া প্রবৃত্তির দিকে এগোলেই বিপদসীমার চরম পর্যায়ে পৌঁছে যাব বিপরীত দিকটাও একইভাবে সত্য। তাই তো আমরা দেখতে পায় ফরাসী বিপ্লবের অত মহান আদর্শ সাম্য-স্বাধীনতা-মৈত্রী নতুন সমাজ গঠন করতে ব্যর্থ। শূন্যতত্ত্ব বুঝতে গেলে আমাদেরকে বুঝতে হবে ক্রমসংকোচনবাদ ও ক্রমবিকাশবাদের রাসায়নিক সংযোজন। এখন দেখা যাক এই ক্রমসংকোচনবাদ ও ক্রমবিকাশবাদ জিনিসটা কী? খায় না মাথায় দেয়? এগুলোর কোনোটাই করে না আক্ষরিক অর্থে , অভ্যন্তরীণ অর্থে করলেও করতে পারে। সে যাইহোক এখন দেখা যাক জিনিস দুটো আসলে কী? ধরাযাক একটা বটের বীজ সেখান থেকে ধীরে ধীরে সে আজকের মহীরূহ একেই আমরা বলি ক্রমবিকাশবাদ বা বিবর্তনবাদ। কিন্তু এই বিকাশলাভ একটা ছোট্ট বীজ থেকে হল কী করে? আক্ষরিক অর্থে শূন্য বলতে যা বোঝায় সেখান থেকে তো আর কিছুর সৃষ্টি হতে পারে না। তাহলে কীভাবে একটা বীজ আজকের মহীরূহ? বা একটা শুক্রাণু আর ডিম্বানুর মেলবন্ধনে আজকের পূর্ণাঙ্গ মানুষ কীভাবে? তখনই চলে আসে ক্রমসংকোচনবাদের কথা। ক্রমবিকাশ বা বিবর্তন ঐ বীজের মধ্যে সুপ্ত অবস্থায় ছিল। এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে বিবর্তনের পথে হাঁটতে শুরু করে।
এই যে ক্রমসংকোচন বাদ থেকে ক্রমবিকাশবাদে আসতে যে সময় লাগে তাই হল শূন্যতত্ত্ব বা জিরোওয়াট।আর এটাকে বোঝাবার জন্য একটা গাণিতিক সমীকরণ বা রূপ সৃষ্টি করেছি তা হল-
n ইকুয়্যাল টু জিরো গেটারদ্যান ওয়ান। এই n এর মান এখানে যা খুশি ধরতে পারি প্রথমে নিবৃত্তি অর্থাৎ ধরা যাক n ইকুয়্যাল টু জীবন অর্থাৎ জীবন ইকুয়্যালটু 0 অর্থাৎ জীবন আসলে কিছুই নয় একটা খেলা এভাবে দেখলেই চলে নিবৃত্তির আর্দশ আর যখনই 0>1 করা হচ্ছে তখনই চলে আসছে প্রবৃত্তি অর্থাৎ এই খেলা খেলতে গিয়ে যা কিছু সংগ্রহ হচ্ছে তার প্রকাশ।
ক্রমসংকোচন বাদ থেকে ক্রমবিকাশবাদ বা ক্রমবিকাশবাদ থেকে ক্রমসংকোচন এর মধ্যের সময়ই হল শূন্যতত্ত্ব।
|
|
|
|
|
| ০
(-) |__________________________(+)
ক্রমসংকোচন | ক্রমবিকাশ
|
|
|
শূন্যতত্ত্ব
এখানেই কবি গড়ে তুলবেন তার লৌকিক বাসভূমির যুক্তিহীনতা।একজ্ঞান ছড়িয়ে পড়বে বহুজ্ঞানে। অর্থাৎ বহুজ্ঞানের ভিতর বেজে উঠবে
একজ্ঞানের সুর।যা ভারতের প্রধান ঐতিহ্য। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য। মূল সুর এখানে শূন্য। যা একেবারে ভারতীয় ধারা।
মাংস
মহাদেবাশা
জলীয় বাষ্পের দিব্যি
এখনও কলম। এখনও রোদ্দুর। এখনও বাঁশি
এতদূর কিছু শিরীষ
কেন এই নৌকা
কেন এই কলতানের মেরি
চাঁদ উঠেছে
পাহাড়ে পাহাড়ে মা খেলছে
মাংস ঝড়াচ্ছে নদী
যেখানে কবির প্রতিটা লাইন কবিতা হয়ে উঠেছে। পুরো কবিতাটি লজিক্যাল ক্লেফটের উদাহরণ। কবিতাটি শুরু হচ্ছে জলীয় বাষ্পের দিব্যি দিয়ে। যে দিব্যি গড়াতে গড়াতে কখনও কলম কখনও রোদ্দুর কখনও বাঁশির কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। কীভাবে পৌঁছাচ্ছে শূন্যের উপর নির্ভর করে। শূন্যই কবিতাকে নয় ছয় করার সাহস জোগাচ্ছে। নদীও ঝড়াচ্ছে মাংস। আমরা শুনে ফেলছি কলতানের মেরি। অর্থগত নয় শব্দের ধ্বনিগত পরিবর্তনই হয়ে উঠেছে মুখ্য বিষয়।
প্রবৃত্তি আর নিবৃত্তির অভাবেই যেকোনো মানুষ-সমাজ-শিল্প- সাহিত্য সবকিছু ধ্বংসের মুখে।এখানেই সমস্ত জগতের রহস্যময় প্রবঞ্চ।প্রবৃত্তি ও নিবৃত্তির মিলনই আমাদেরকে প্রকৃত সত্যের সম্মুখীন করবে। নচেৎ আমরা বারংবার ধ্বংসের সম্মুখীন হব। আমাদেরকে রসাতলের হাত থেকে বাঁচতে হলে সম্পূর্ণ নিজস্ব ধারায় সিক্ত হতে হবে প্রবৃত্তি ও নিবৃত্তির হাত ধরে। নিবৃত্তি ছাড়া প্রবৃত্তির দিকে এগোলেই বিপদসীমার চরম পর্যায়ে পৌঁছে যাব বিপরীত দিকটাও একইভাবে সত্য। তাই তো আমরা দেখতে পায় ফরাসী বিপ্লবের অত মহান আদর্শ সাম্য-স্বাধীনতা-মৈত্রী নতুন সমাজ গঠন করতে ব্যর্থ। শূন্যতত্ত্ব বুঝতে গেলে আমাদেরকে বুঝতে হবে ক্রমসংকোচনবাদ ও ক্রমবিকাশবাদের রাসায়নিক সংযোজন। এখন দেখা যাক এই ক্রমসংকোচনবাদ ও ক্রমবিকাশবাদ জিনিসটা কী? খায় না মাথায় দেয়? এগুলোর কোনোটাই করে না আক্ষরিক অর্থে , অভ্যন্তরীণ অর্থে করলেও করতে পারে। সে যাইহোক এখন দেখা যাক জিনিস দুটো আসলে কী? ধরাযাক একটা বটের বীজ সেখান থেকে ধীরে ধীরে সে আজকের মহীরূহ একেই আমরা বলি ক্রমবিকাশবাদ বা বিবর্তনবাদ। কিন্তু এই বিকাশলাভ একটা ছোট্ট বীজ থেকে হল কী করে? আক্ষরিক অর্থে শূন্য বলতে যা বোঝায় সেখান থেকে তো আর কিছুর সৃষ্টি হতে পারে না। তাহলে কীভাবে একটা বীজ আজকের মহীরূহ? বা একটা শুক্রাণু আর ডিম্বানুর মেলবন্ধনে আজকের পূর্ণাঙ্গ মানুষ কীভাবে? তখনই চলে আসে ক্রমসংকোচনবাদের কথা। ক্রমবিকাশ বা বিবর্তন ঐ বীজের মধ্যে সুপ্ত অবস্থায় ছিল। এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে বিবর্তনের পথে হাঁটতে শুরু করে।
এই যে ক্রমসংকোচন বাদ থেকে ক্রমবিকাশবাদে আসতে যে সময় লাগে তাই হল শূন্যতত্ত্ব বা জিরোওয়াট।আর এটাকে বোঝাবার জন্য একটা গাণিতিক সমীকরণ বা রূপ সৃষ্টি করেছি তা হল-
n ইকুয়্যাল টু জিরো গেটারদ্যান ওয়ান। এই n এর মান এখানে যা খুশি ধরতে পারি প্রথমে নিবৃত্তি অর্থাৎ ধরা যাক n ইকুয়্যাল টু জীবন অর্থাৎ জীবন ইকুয়্যালটু 0 অর্থাৎ জীবন আসলে কিছুই নয় একটা খেলা এভাবে দেখলেই চলে নিবৃত্তির আর্দশ আর যখনই 0>1 করা হচ্ছে তখনই চলে আসছে প্রবৃত্তি অর্থাৎ এই খেলা খেলতে গিয়ে যা কিছু সংগ্রহ হচ্ছে তার প্রকাশ।
ক্রমসংকোচন বাদ থেকে ক্রমবিকাশবাদ বা ক্রমবিকাশবাদ থেকে ক্রমসংকোচন এর মধ্যের সময়ই হল শূন্যতত্ত্ব।
|
|
|
|
|
| ০
(-) |__________________________(+)
ক্রমসংকোচন | ক্রমবিকাশ
|
|
|
শূন্যতত্ত্ব
এখানেই কবি গড়ে তুলবেন তার লৌকিক বাসভূমির যুক্তিহীনতা।একজ্ঞান ছড়িয়ে পড়বে বহুজ্ঞানে। অর্থাৎ বহুজ্ঞানের ভিতর বেজে উঠবে
একজ্ঞানের সুর।যা ভারতের প্রধান ঐতিহ্য। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য। মূল সুর এখানে শূন্য। যা একেবারে ভারতীয় ধারা।
মাংস
মহাদেবাশা
জলীয় বাষ্পের দিব্যি
এখনও কলম। এখনও রোদ্দুর। এখনও বাঁশি
এতদূর কিছু শিরীষ
কেন এই নৌকা
কেন এই কলতানের মেরি
চাঁদ উঠেছে
পাহাড়ে পাহাড়ে মা খেলছে
মাংস ঝড়াচ্ছে নদী
যেখানে কবির প্রতিটা লাইন কবিতা হয়ে উঠেছে। পুরো কবিতাটি লজিক্যাল ক্লেফটের উদাহরণ। কবিতাটি শুরু হচ্ছে জলীয় বাষ্পের দিব্যি দিয়ে। যে দিব্যি গড়াতে গড়াতে কখনও কলম কখনও রোদ্দুর কখনও বাঁশির কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। কীভাবে পৌঁছাচ্ছে শূন্যের উপর নির্ভর করে। শূন্যই কবিতাকে নয় ছয় করার সাহস জোগাচ্ছে। নদীও ঝড়াচ্ছে মাংস। আমরা শুনে ফেলছি কলতানের মেরি। অর্থগত নয় শব্দের ধ্বনিগত পরিবর্তনই হয়ে উঠেছে মুখ্য বিষয়।
মহাদেবাশার শূন্যতত্ত্ব (চতুর্থ পর্ব)
Reviewed by Unknown
on
November 15, 2017
Rating:
No comments